মহিলাদের_সেক্স_হরমোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা স্বাস্থ্য

🛑🚨#মহিলাদের_সেক্স_হরমোন #হোমিওপ্যাথিক #চিকিৎসা #স্বাস্থ্য

🛑মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে (ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয়) হরমোন সংকেত যাবার মাধ্যমে এটির সূচনা ঘটে। ফলশ্রুতিতে গোনাড বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপাদন শুরু করে যার ফলে মস্তিষ্ক, অস্থি, পেশি, ত্বক, স্তন, এবং জনন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের বৃদ্ধি শুরু হয় এবং যৌন অনুভূতি বা আকর্ষণ ইত্যাদি মহিলাদের বেলায় ইস্ট্রোজেন গ্রুপের হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । পুরুষ- মহিলা উভয়ের বেলায় জনন তন্ত্রের সকল সঠিক উদ্দীপনা, কাঠামো এবং বংশ বিস্তার সব কিছুই খুবই সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । এই হরমোন সমূহের কম হলে যে রকম সমস্যা দেখা দেয় ঠিক তেমনি বেশী হলে ও বিপরীত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে

🛑মহিলাদের বেলায় প্রধান যে কয়টি গুরুত্ব পূর্ণ হরমোন আছে তার মধ্যে বয়ঃসন্ধিরর শুরু থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্স হরমোন হল #ইস্ট্রোজেন এবং #প্রোজেস্টেরন – ইস্ট্রোজেন গ্রুপের ও প্রোজেস্টেরোন, এই দুটি স্টেরয়েড স্ত্রী হরমোন একজন নারীর মাসিক চক্র, ডিম্বাশয় , ডিম্ব নির্গমন, জরায়ুর শ্লেষ্মা পুরু করা, ও সেক্স চরিত্রের পরিবর্তন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পুরুষের বেলায় টেস্টোস্টেরন , এই তিনটিকেই সেক্স হরমোন বলা হয়ে থাকে তা ছাড়া ও এইচ সি জি ( human chorionic gonadotrophin ), অক্সিটোসিন , এফ এস এইচ, এল এইচ ও মহিলাদের সেক্স হরমোনের সাথে সহযোগি হিসাবে বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে – তাই এ বিষয়ে প্রত্যেক মহিলাদের স্বাভাবিক কিছু অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন খুব সংক্ষেপে তুলে ধরলাম , সেই সাথে অনেকর কিছু ভুল ধারনা থাকলে তাও সংশোধন হবে বলে আমার বিশ্বাস ,

🛑#মহিলাদের_সেক্স_হরমোন ( called the estrogen hormones )- প্রাথমিক যৌন জীবন থেকে থেকে শুরু করে সেক্সের সাথে সম্পর্ক যুক্ত শরীরের অন্যান্য অনেক গুরুত্ব পূর্ণ কাজে অংশ গ্রহন করে থাকে ,
🛑#ইস্ট্রোজেন ( estrogen ) কি বা কোথায় উৎপাদিত হয় ?
#ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন গ্রাফিয়ান ফলিকল ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালীতে আসে। এই সময় গ্রাফিয়ান ফলিকল-এর একটি অংশ ডিম্বাশয়ে থেকে যায়। থেকে যাওয়া এই অংশটির রং হলুদ। একে বলা হয় করপাস লুটিয়া (Corpus lutia)এবং এর কোষগুলো ইস্ট্রোজেন (Estrogen) এবং প্রোজেস্টেরন (Progesteron) নামক দুটো স্ত্রী হরমোন নিঃসরণ করে।
@যদিও ইস্ট্রোজেন একক কোন হরমোনের নাম নয় ইহা একটি হরমোন গ্রুপের নাম – কেন না এ পর্যন্ত ২০/৩০ ধরনের ইস্ট্রোজেনের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা – এবং শুধু মাত্র ঘোড়ার ইস্ট্রোজেনে কিছুটা ব্যতিক্রম ছাড়া সব ইস্ট্রোজেনের ফাংশন একই ধরণের ( প্রায় )-
মহিলাদের ইস্ট্রোজেন কে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে – ইস্ট্রোন (estrone – E1) oestradiol ( ইস্ট্রোডিয়ল – E2)–ইস্ট্রিওল -( estriol- E3)– তাই যাহারা হরমোন জাতীয় কেমিক্যাল বা প্রাকৃতিক ঔষধ সেবন করেন, সেখানে সরাসরি ইস্ট্রোজেন লিখা না ও থাকতে পারে – বরং estrone (E1), estradiol (E2),estriol (E3) লিখা দেখতে পাবেন অথবা বায়োক্যামিক্যাল নাম উল্লেখ থাকতে পারে ।
#ইস্ট্রোন ( oestrone ) :
গড়ে ৭১% ইস্ট্রোন উৎপাদন হয়ে থাকে মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে, বাদবাকি ৫০% শরীরের টিস্যু এবং এড্রিন্যাল গ্ল্যান্ড থেকে উৎপাদিত হয়ে থাকে ।
#ইস্ট্রোন পুরুষের বেলায় ও সামান্য প্রয়োজন বিধায় পুরুষের শরীর থেকে নিঃসরণ হয় কিন্তু তা খুবই সামান্য , কোন কারন বশত পুরুষের বেশী নিঃসরণ হলে উক্ত ব্যাক্তির চারিত্রিক আচরণ মহিলাদের মত দেখা যায় আবার যে সকল মেয়েদের শরীরে খুবই অল্প বয়সে ইস্ট্রোন বেশী নিঃসৃত হয় তাদের বেলায় কম বয়সেই যৌবনের রুপ রেখা চলে আসে । ( মেডিক্যাল সাইন্স অনুসারে পিউবারটি বলা হলে ও পূর্ণ পিউবারটি পেতে একজন মেয়ের ১৬ থেকে ১৯ পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন )
( পুরুষদের বেলায় বয়স ৪০ এর উপর চলে গেলে যদি উক্ত হরমোনের প্রভাব বেশী হয় তা হলে খুব দ্রুত মেদ ভুড়ি দেখা দেয় । একই ভাবে খুবই অল্প পরিমাণ পুরুষ টেস্টারন হরমোন ও মেয়েদের শরীর থেকে নিঃসরণ হয় , যে কোন কারন বশত এর আধিক্যতা দেখা দিলে পুরুষের সকল বৈশিষ্ট মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় )
যে কোন কারণে টিস্যু গ্ল্যান্ড থেকে উৎপাদিত হরমোন কম নিঃসরণ হলে চর্মের লাবণ্যতা কমে যায় ৮১% বেলায় এবং এড্রিনাল ও ওভারী থেকে কম ইস্ট্রোন নিঃসরণ হলে মহিলাদের মানসিক বিভিন্ন জটিলতা বা যৌন অনুভূতি , উত্তেজনা, আকর্ষণ ইত্যাদি কমে যায় , তবে প্রাকৃতিক কারণে ইস্ট্রোনের নিঃসরণ কম হলে ( মেনপোজ ) বিশেষ করে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিলে শরীরের অন্যান্য তেমন জটিলতা দেখা দেয়না ৮০% বেলায়।

🛑#ইস্ট্রোনের স্বল্পতায় মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস ( হাড়ের ক্ষয় রোগ জাতীয় ) জাতীয় অসুখ, ক্লান্তি, মেজাজ গরম থাকা, যৌন শক্তি কমে যাওয়া এবং বিষণ্নতা দেখা দিয়ে থাকে । সে জন্য বয়স্কতার কারণে মহিলাদের মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু বাস্তব উপদেশ , উন্নত ভিটামিন যুক্ত ও হরমোন স্টিমুলেটিং জাতীয় খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিলে অনেক সময় তেমন শারীরিক প্রভাব পরেনা । নতুবা এসব মহিলাদের হাড় দুর্বলতার কারণে বয়স থাকা সত্তেও হাড়ের ভঙ্গুরতা দেখা দিতে পারে- ৬৩% বেলায় । তবে ক্ষেত্র বিশেষ উপযুক্ত হরমোন চিকিৎসায় ৫/৭ বছর বেশী যৌবন ধরে রাখা সম্বভ ( এইচ আর টি ) । ( গবেষণায় তাই প্রমাণিত হয়েছে )

🛑সর্বশেষ বাড়তি কিছু তথ্য :
গবেষণায় দেখানো হয়েছে , যে সকল মহিলারা পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার আগে ( ১৯ এর নীচে ) অথবা মারাত্মক পুষ্টিহীনতা জাতীয় অসুখে ভোগেন ( বিশেষ করে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি ) তাহারা যদি নিয়মের অতিরিক্ত যৌনসুখ জাতীয় কর্মকাণ্ডে বেশী জড়িত থাকেন বা অনিচ্ছা সত্তেও প্রবল আবেগের বশবতি হয়ে যৌনসংগমে লিপ্ত থাকেন তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোমরের অস্থিজনিত সমস্যায় ( ১৫/২০ বছর আগে ) ভোগবেন ( প্রমাণিত … )
ইউরোপিয়ান মহিলাদের মধ্যে সদ্য এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যাদের কম বয়সে বয়ফ্রেন্ড বেশী পরিবর্তন করেছে, তাদের কোমর এবং নিতম্বের অচল অবস্থা অন্যান্যদের চাইতে ৯৫% বেশী বা গড়ে ইউরোপিয়ান ৪০ এর আগেই এবং এশিয়ানরা ৩৫ এর আগেই মেনপোজের কাছা কাছি চলে যাবেন ( মাসিক বন্ধ হওয়া জাতীয় সমস্যা ) এবং তখন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে! #Dr. Masud jaman ☎️📲01717-499374

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টেস্টোস্টেরন_বা_সেক্স_হরমোন_ঘাটতির_লক্ষণ

ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের আগে পরে প্রচন্ড ব্যথায় ভূগছেন ?

লিঙ্গ_উত্থানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা